Interview with Mr. Jesper Toft

একক মুদ্রার ওপর অধিক নির্ভরশীলতা বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে

জেসপার টফট গ্লোবাল কারেন্সি ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা। কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চশিক্ষা নেয়া জেসপার ডেনমার্কের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। ওভারসিজ মার্কেটের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়েব ইন্টেলিজেন্স টেকনোলজিতে। চায়না নেটওয়ার্ক মিডিয়া ইনকরপোরেশন পরিচালনা করেছেন ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি পেয়েছেন ডেনিশ ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স ও ডিপার্টমেন্ট অব রিসার্চ থেকে। ব্লুমবার্গ বিজনেসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তার বড় দক্ষতা স্ট্র্যাটেজি ও বিজনেস ডেভেলপমেন্টে। সম্প্রতি ঢাকা সফরকালে বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা ঝুঁকি, গ্রিস-ইউরোর মুদ্রা সমস্যা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন জায়েদ ইবনে আবুল ফজল ও সাকিব তনু

 JT foto 2a

সুদূর ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশ— কেন?

আসলে এসেছি আমার প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কারেন্সি ইউনিয়ন প্রদত্ত সেবাগুলো নিয়ে আপনাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলতে। কেননা আমরা বিশ্বাস করি, মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার ম্যাথমেটিক্যাল প্লাটফর্ম থেকে প্র্যাকটিক্যালি ব্যাপক সুবিধা তুলে নিতে পারে বাংলাদেশ। মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতায়ও যথেষ্ট কার্যকর এটি।

আমাদের বৈদেশিক বিনিময় হার তো বর্তমানে স্থিতিশীল…

কথাটা আংশিক বাস্তব। বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে এবং বিনিময় হারের দিক থেকে আপনাদের মুদ্রা টাকার প্রায় পুরোপুরি স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে মার্কিন ডলারের সঙ্গে। অথচ বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হলো ইউরো অঞ্চল; তার পর চীন, ভারত ও চতুর্থ নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র। এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারের প্রতিযোগিতার প্রতি লক্ষ করুন। ইউরোর বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ফলে ডলার ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পন্ন হওয়ায় বাংলাদেশী রফতানিকারকদের এ সুবিধা সাময়িক। চূড়ান্ত বিচারে তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা খানিকটা কমেছে বরং। বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা এখনো যে সমস্যা অনুভব করছেন না, সেটির আরেকটি কারণ হতে পারে— বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের সম্পন্নকৃত চুক্তিগুলো বিনিময় হার পরিবর্তনের আগের। তবে আগামী মৌসুমে ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার সময় সমস্যা সৃষ্টি হলে অবাক হব না। তখন উৎপাদন ব্যয় আরো কমাতে বলতে পারেন ক্রেতারা। ইত্যবসরে ইউরোপে যদি পণ্যটির চাহিদা না কমে এবং বাংলাদেশ যদি ওই শর্ত মানতে নারাজ হয়, সেক্ষেত্রে এখান থেকে চলেও যেতে পারে কিছু চুক্তি। কেননা বিনিময় হার ও বাণিজ্য বিন্যাস পরস্পর তাল মিলিয়ে চলে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। মুদ্রা-সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবেলায় এটিই কি পর্যাপ্ত নয়?

অবশ্যই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা যে কোনো অর্থনীতির একটা শক্তিশালী দিক। কিন্তু এর ব্যবহারটা একেবারে সাদামাটা ভাষায় বলতে গেলে রাবার ব্যান্ডের মতো। একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত একে অনায়াসে টানা যায়। কিন্তু তার বেশি টানতে গেলে হয় ছিঁড়ে যায়, নয়তো সমান শক্তিতে আঙুলে আঘাত করে। এর আগ পর্যন্ত হয়তো কিছুই অনুমান করা যায় না। ফলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হারে উদ্বায়িতা (ভোলাটিলিটি) বলে কয়ে তৈরি হয় না। আর পূর্বপ্রস্তুতি না থাকলে ও সতর্ক না হলে বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ক্রিয়া (ইমপ্যাক্ট ইফেক্ট) পড়াও খুবই স্বাভাবিক। সেজন্যই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলছি ট্রেড-ওয়েটেড মাল্টি কারেন্সি বাস্কেট রাখতে।

বৈদেশিক বিনিময় হারের ঝুঁকি বিষয়ে আরো বিস্তারিত বলবেন কি?

দেখুন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট পণ্য রফতানি করে। এখানে টাকার সঙ্গে বিনিময় ঘটে ডলার-ইউরো প্রভৃতির। আমরা দেখেছি, পণ্য রফতানির বেলায় মুদ্রার যতবার বদল হয়, বিনিময় হারের বদল ঘটে তার প্রায় দ্বিগুণ বেশি। আরো মজার বিষয়, বৈদেশিক বিনিময় হারের ওই উত্থান-পতন প্রকৃত অর্থনৈতিক বিনিময়ের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্কহীন; সেটা মূলত স্পেকুলেশন-ড্রাইভেন (অনুমান নির্ভর লেনদেন)। আমি মোটেই স্পেকুলেশনের বিরোধী নই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, স্পেকুলেটিভ কারেন্সি মার্কেট (অনুমান নির্ভর মুদ্রাবাজার) ও রিয়েল ট্রেড মার্কেটের (প্রকৃত বাণিজ্য বাজার) মধ্যে সুসমন্বয় ও সুসামঞ্জস্য থাকা উচিত। কেননা বাস্তবে বাণিজ্য না থাকলে বিনিময় হার বাজার হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। অন্যদিকে বিনিময় হার বাজারের অলীক বৃদ্ধি অনেক সময় প্রকৃত অর্থনীতির ঘাড়ে বিপদ চাপিয়ে দেয়।

সেক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কেমন হতে পারে?

আমি পরামর্শ দেব, অন্তত বড় বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য বিন্যাস (ট্রেড প্যাটার্ন) বিশ্লেষণপূর্বক বিনিময় হার ঝুঁকি হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ করুক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেক্ষেত্রে ট্রেড ভলিউম (বাণিজ্যের পরিমাণ) অনুপাতে তৈরি গ্লোবাল কারেন্সি ইউনিয়নের কারেন্সি বাস্কেট (মুদ্রা বাক্স) ব্যবহার করতে পারে তারা। এটি নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক ব্যবস্থা। আমার মনে হয়, এটা একবার ট্রাই করা উচিত। যদি দেখা যায় কাজ হচ্ছে না, তখন বাদ দিলেই হলো। নিঃসন্দেহে দ্রুত ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশেরও কাম্য। কেননা উন্নয়নের বৃহৎ নিয়ামক হচ্ছে এ প্রবৃদ্ধি। আবার তা কিন্তু বাণিজ্য বৃদ্ধি ছাড়া সম্ভব নয়। আমার প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে সহায়তা জোগাতে চায়, যাতে জাতীয় পর্যায়েই অধিক দক্ষ ও সুপরিচালিত বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা থেকে নিজ বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা থেকে সুযোগ উসুল করতে পারে বাংলাদেশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আপনাদের চুক্তি হয়েছে?

এখনো হয়নি। তাই আমি নিজে এখানে এসেছি শুধু এটা বোঝাতে যে, সেতু ও বিদ্যুেকন্দ্রের মতোই বিনিময় হারে ঝুঁকি হ্রাসমূলক আর্থিক অবকাঠামো আপনাদের উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য দরকার। বাংলাদেশ যতই বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে অঙ্গীভূত (ইন্টিগ্রেট) হবে, ততই এগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হবে। আর এসব ব্যাপারে ঐকমত্যের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়াই উত্তম। সে লক্ষ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন সবার সঙ্গে ইস্যুটি নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত।

আমাদের বিনিময় হার ব্যবস্থাপনার বর্তমান হাল কেমন?

বর্তমানে মুদ্রা বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে। অথচ সক্রিয় ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতিতে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হওয়ার কথা। বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ অকার্যকর কিংবা নেতিবাচক, সে কথা বলছি না। কিন্তু কথা হলো, এ ধরনের ব্যবস্থা সাধারণত অনমনীয়। ফলে আচমকা অভিঘাতে ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। তাছাড়া যে কোনো একক মুদ্রার ওপর অতিনির্ভরশীলতা কিছু ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে একাধিক মুদ্রায় ঝুঁকি বণ্টনই বুদ্ধিমানের কাজ।

আইএমএফ স্থাপিত আর্থিক অবকাঠামোর সঙ্গে এতক্ষণ আলোচ্য ব্যবস্থাটির সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা কতটুকু?

ট্রেড-ওয়েটেড মাল্টি-কারেন্সি বাস্কেট অন্য দেশের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক কিংবা সমন্বয় ছাড়া স্থাপন করা যায়। আইএমএফের বিদ্যমান অবকাঠামোর মধ্যেই এর প্রয়োগ সম্ভব। আবার ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম যেমন— দেশী মুদ্রা সরবরাহ অথবা সুদের হার নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ওপরও এর প্রতিক্রিয়া নেই।

একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বা চ্যালেঞ্জ কী কী?

উন্নয়নশীল থেকে উন্নত হওয়ার পথে প্রচলিত ধাপগুলো সবাই জানেন। বাংলাদেশকেও হয়তো সেই ক্লান্তিকর সিঁড়ি বেয়েই উঠতে হতো, যদি না তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) বৈপ্লবিক ছোঁয়া এখানে লাগত। আমি মনে করি, বাংলাদেশের উন্নয়নের শর্টকাট প্লাটফর্ম হতে পারে আইসিটি। এটি একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের একটা বড় শক্তি। আর অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো, সিস্টেমকে আপগ্রেড (ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী) করা। আপনাদের বিনিময় হার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই এখনো প্রচলিত ধারায় চলছে। এখানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কেননা পরস্পর সহযোগী দেশগুলো এখন অনেক বেশি কাছাকাছি আর সেক্ষেত্রে ম্যাজিক গ্লু হলো ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রেশন (আর্থিক একীভূতকরণ)।

এখানকার ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

এ বিষয়ে আমার জানাবোঝা খুব বেশি দিনের নয়। ফলে ধারণাও ভাসা ভাসা। তবু ইউরোপের অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু বুঝি— স্থানীয় ব্যাংকিং খাতের বিস্তার ও গভীরতা বাড়াতে গ্রাহকের আরো আস্থা অর্জনের দরকার আছে। সে লক্ষ্যে গ্রাহক-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে যত্নবান ও সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন করতে হবে বাসেল-২-এর মতো বৈশ্বিক অনুশীলন। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় দুটো বিষয়— রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স। এর সুব্যবস্থাপনায় এগিয়ে আসা উচিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। বর্তমানে বাংলাদেশে যেভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহিত হচ্ছে, তা অসম্পূর্ণ স্থানান্তর। সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে এর অধিকতর ব্যবহার সম্ভব। তাতে ব্যাংকগুলোর করণীয় কম নয়।

গ্রিসের বর্তমান পরিস্থিতি কী? কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল, একক মুদ্রা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে পারে তারা। ওদিকে রাশান রুবলের দাম পড়েছে সম্প্রতি…

ইউরোপে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে এ মুহূর্তে। আর গ্রিক বাণিজ্য হিসাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি। ২০১৩ সালের অফিশিয়াল হিসাবেই তা ছিল প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। গ্রিস যদি ইউরো পরিত্যাগ করতে চায়, ডলার ও ইউরোকে নিয়েই থাকতে হবে তাকে। সেক্ষেত্রেও ঝুঁকি প্রভাব ও বিনিময় হারের বিপদ রয়েছে, যা অগ্রাহ্য করা অসম্ভব।

রুবলের দাম ৫০ শতাংশ কমেছে এক মাসে। অর্থাৎ ৩০ দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে তার অর্ধেক ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে রাশিয়া। ফলে বিপাকে পড়েছে সেখানকার কোম্পানিগুলো। ওদিকে সুইস ফ্রাংকের কিন্তু দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। তার প্রভাবও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বহু প্রতিষ্ঠানকে। মুদ্রাবাজারের এমন উদ্বায়িতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যেও রয়েছে বেশ।

বিশ্বের মুদ্রাবাজারের ভবিষ্যৎ কী?

গত ৪০ বছরে আপনারা ভেহিকল টেকনোলজির পরিবর্তন, টেলিফোনি ধারণার রূপান্তর দেখেছেন; আমি কিন্তু দেখেছি বিনিময় হার ব্যবস্থার পরিবর্তিত রূপ। আমার বিশ্বাস, এর উন্নয়ন হবে পর্যায়ক্রমে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং আমাদের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছুটা হলেও পরিচিতি ঘটেছে। তাদের ব্যাপারে আপনার ধারণা জানতে পারি?

আমার ফার্স্ট ইম্প্রেশন হলো, ব্রিকসের পর নেক্সট-১১-এর সদস্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা অব্যাহতভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে চললে এটা ঘটত না। সেন্ট্রাল ব্যাংকিং, ট্রেজারি ম্যানেজমেন্টের কিছু কর্মকর্তাকে বেশ কোয়ালিফাইড মনে হয়েছে। আর বেসরকারি খাত সম্পর্কে শুধু এটুকু বলব, আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশীরা আন্তরিকভাবেই ভাগ্যকে বদলাতে চায়; নিজ অবস্থার উন্নতি চায়।

বিশেষ কোনো পরামর্শ আছে কি?

বদ্ধ অবস্থায়ও সংরক্ষিত অর্থনীতির উন্নয়ন হয়। তবে সে পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত গতি মেলে না। আর এ গতির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে ডেভেলপমেন্ট প্রসেসের (উন্নয়ন প্রক্রিয়ার) ওপর। ফলে উন্নয়নের গতি বাড়াতে বিশ্বের সঙ্গে আরো উন্মুক্ত হওয়া উচিত বাংলাদেশের।

আলোকচিত্রী: ডমিনিক হালদার

২০১৫-০৫-০৭ ইং

Leave a comment